সরকারী দল

13-12-2016 10:25:21 PM

জঙ্গিবাদের কারণ ও অর্থের উৎস খুঁজে বের করুন : প্রধানমন্ত্রী

newsImg

ন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে এই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে এর কারণ ও অর্থের উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগজনক সমস্যা। এই সভ্যতাবিনাশী প্রবণতা নির্মূলে এর কারণ, উৎস ও প্রতিকারের উপায় নিরূপণ জরুরি। তিনি বলেন, তাঁর সরকার জঙ্গি নির্মূল ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।

বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে মিরপুর সেনানিবাসে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০১৬’ (এনডিসি) এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০১৬’ (এএফডব্লিউসি)-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশিক্ষিতÿও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিকে অতীতের মতো সন্ত্রাস বা বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার জন্য আর কখনো কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে।শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সব সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রেখে নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তাদের অর্থনীতিকে বহুমুখী ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের অনুসৃত নীতি ও কৌশল গতির সঞ্চার করেছে। দেশের অর্থনীতির ক্রমাগত বিকাশ ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সফলতার পাশাপাশি কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান।গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করে বলেন, সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে আপনারা সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারকে যথাযথ সহায়তা করতে পারবেন।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি উন্নত ও আধুনিক দেশের জন্য প্রয়োজনীয় গভীর সমুদ্রবন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল, আন্তর্দেশীয় রেল প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের আগে অতীতে অন্য কেউ অবকাঠামো খাতের এই যুগান্তকারী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কথা ভাবেনি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।