বিরোদী দল

08-12-2016 03:09:08 PM

নারী নির্যাতনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অবস্থানে: খালেদা

newsImg

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নারী জাগরণের অগ্রদূত আখ্যা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমানে অনেক দিক দিয়ে আমাদের সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলেও নারীরা সমাজে এখনও নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে নারী নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে। নারীর ওপর নির্যাতনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বোচ্চ পর্যায়ে। মূলত: অনাচারমূলক দুঃশাসনের কারণেই দুর্বৃত্তদের দাপট অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়াতে অসহায় নারীরা মর্মান্তিক পীড়নে পিষ্ট হচ্ছে।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পিছিয়ে থাকা অবস্থান। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন পশ্চাদপদ অবস্থানের কারণেই মানুষের সহজাত সকল ধরনের অধিকার থেকে নারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাণীতে বেগম জিয়া বলেন, বেগম রোকেয়া উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। তার জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল।

তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীকে স্বায়ত্ত্বশাসিত ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আর এজন্য নারীকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি বিশ্বাস করতেন।

বিএনপিপ্রধান বলেন, নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। চারদিকের সংকীর্ণ কুপমণ্ডুকতার বাধা সত্ত্বেও নারীমুক্তির দিশারী মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার দেশে এই অরাজকতা দূরীভূত করে তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।