প্রবাসী

30-11-2016 04:26:29 PM

দুবাই আন্তর্জাতিক শপিং ফেস্টিভ্যালে এবারও নেই বাংলাদেশ

newsImg

সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাত্র ১৫ দিরহাম মূল্যের এক টিকেটে বিশ্বভ্রমণের স্বাদ নেওয়ার মত সুযোগ করে দিয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক শপিং ফেস্টিভ্যাল। গ্লোবাল ভিলেজে আয়োজিত এবারের ২১তম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে প্রায় ৭৫টি দেশ। তবে এ তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম ও প্যাভিলিয়ন।  ফলে বিশ্ববাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পণ্য প্রদর্শনীর অন্যতম বাজার দুবাইয়ে নিজ দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দেশি পণ্যের প্রচারের সুযোগটি এবারও হাত ছাড়া হলো বাংলাদেশের।  তবে মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাছিরের আল হারামাইন গ্রুপের পণ্য ও বাংলাদেশিদের কিছু কিছু আবায়ার (বোরখা) দোকান রয়েছে অন্যান্য দেশের প্যাভিলিয়নে।  এই মেলার মূল ফটকে যেমন কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারী রয়েছে তেমনি প্রতিটি প্যাভিলিয়নের আশপাশেও রয়েছে নিরাপত্তা কর্মী।  এছাড়া দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে প্রতিটি প্যাভিলিয়নের সদর দরজা তৈরি করা হয়েছে সেসব দেশের পর্যটন নির্ভর স্থাপনা দ্বারা। যা দেখে দূর থেকেই দর্শনার্থীরা আঁচ করতে পারেন এটি কোন দেশের প্যাভিলিয়ন! রাশিয়া থেকে আমেরিকা, জাপান থেকে চীন, আবার জার্মান, মিশর, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব এমন কি ভারত, পাকিস্তানও মুহূর্তে যাওয়া হয়ে যায় এক টিকেটে। একেকটি প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করলে দেখা মিলে প্যাভিলিয়নটি ধারণ করে আছে সে দেশের ঐতিহ্য আর ব্যবসায়িক পণ্য। ভরপুর আয়োজন রয়েছে স্ব স্ব দেশের বিখ্যাত খাবারেরও। মাইক্রফোনে ভেসে বেড়ায় তাদের আপন সংস্কৃতির সুর। পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ ও বিনোদনের জন্যে প্রতিটি প্যাভিলিয়নে তৈরি নান্দনিক মঞ্চেও চলে আপন সংস্কৃতি প্রদর্শন। এমন আয়োজন একজন পর্যটক ও দর্শনার্থীকে আলাদা ধারণা দেয়াসহ সে দেশে ভ্রমণেচ্ছুক আগ্রহীদের আগ্রহ বাড়াতে প্রায় ষোল কলাই পূর্ণ করে।  ফেস্টিভ্যালেরে ২১তম আসরে ক্রমেই বাড়ছে বিভিন্ন দেশের ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ছে বাংলাদেশিদেরও। তবে শেষ বিকেলে বাংলাদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীরা যেন ডুবে যান একবুক হতাশায়। পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নিজ দেশের নামে প্যাভিলিয়ন রাখলেও দেখা নেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের।  তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ পাওয়ায় এ ফেস্টিভ্যালে শেষবার অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। আর এ প্রথা তুলে নেওয়ার পরই মুছে যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নামটিও।  বাহরাইন প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশি একজন আবায়া ব্যবসায়ী জানান, গত তিন বছর বাংলাদেশের উপস্থিতি নেই মেলায়। এর আগে গ্লোবাল ভিলিজের ম্যাপে বাংলাদেশ ছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপনা অনুকরণ করে সাজানোও ছিল সেটি। কিন্তু পরে মুছে দেয়া হয়েছে। কারণ, ওদিকে দর্শনার্থীদের খুব একটা যাতায়াত ছিল না। আবার নিবন্ধন ও টাকা-পয়সারও ব্যাপার আছে। সরকারি সহযোগিতা নিয়ে ব্যবসায়ীরা এখানকার জায়গা বরাদ্দ নিতে হয়। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা লাভের দিকে বেশি নজরধারী রাখায় এ বিষয়টিতে তাদের আগ্রহ কম।  বাংলাদেশের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে সরকারি উদ্যোগের অভাব বা এমন অভিযোগ থাকলেও বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহই মূল কারণ। উচ্চ মূল্যে জায়গা বরাদ্দ নিয়ে সে জায়গা আবার অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়ায় এ কাজে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম।  উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ায় ফেস্টিভ্যালের ২১তম এ আসর চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।