স্বাস্থ্য কথা

09-11-2016 03:06:55 PM

পনির খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চরক্তচাপ

newsImg

দুগ্ধজাত পণ্যে সোডিয়াম যেভাবে থাকে তা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। আর তাই পনির উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে বলে এক গবেষণায় জানান বিশেষজ্ঞরা। পনিরের দুগ্ধজাত প্রোটিনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ কাজটি করে বলে মনে করেন তারা। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর লেসি আলেক্সান্ডার জানান, এ গবেষণায় যে ফল মিলেছে তা দুগ্ধজাত পণ্যের উপকারিতা তুলে দরে। আধুনিক যুগে স্বাস্থ্যকর খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে আনতে বলা হয়। কিন্তু পনিরে সোডিয়াম যে অবস্থায় বিরাজ করে তা উপকারী হতে পারে। মানুষ যেভাবে দুগ্ধজাত খাবার খায় সে বিষয়ে সচেতন সবাই। এসব খাবার রক্তচাপ কমিয়ে আনে। গবেষণায় বলা হয়, সোডিয়াম যখন পনিরে থাকে তখন তা ভাসকুলার সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। কিন্তু অন্যান্য উৎস থেকে আসা সোডিয়াম বেশ ক্ষতিকর হয়ে থাকে। সোডিয়াম দেহের রক্তনালীতে যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, পনিরের সোডিয়াম সে অবস্থার উন্নতি ঘটায়। তবে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি, পনিরের সোডিয়ামে দীর্ঘমেয়াদি উপকার মেলে কি না। গবেষণার কাজে অংশগ্রহণকারীদের পনির, প্রিৎজেল বা সয় চিজ খাওয়ানো হয়। তিন দিন অন্তর অন্তর ৫ বার খাওয়ানো হয়। কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে প্রত্যেক খাবারের প্রভাব বিষয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এ কাজে বিশেষজ্ঞরা লেজার ডপলার ব্যবহার করেন। এই লেজার রশ্মি ত্বকের নিচের রক্তবাহী নালীতে প্রবাহিত লোহিত রক্তকণিকার প্রতিফলন ঘটায়। এর মাধ্যমে রক্তনালীতে কতটা রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ত্বক কতটা উষ্ণতা পাচ্ছে এবং নাইট্রিক অক্সাইডের কারণে কতটা প্রসারণ ঘটছে তাও দেখা হয়। এই গ্যাসটি দেহের কোষগুলোর মধ্যে সংকেত আদান-প্রদানে এমনিতেই উৎপন্ন হয়। আসলে দুগ্ধজাত উৎস এবং অন্যান্য উৎসের সোডিয়ামের তুলনা করা হয়। পেন স্টেটের অ্যানা স্ট্যানহিউইজ বলেন, দেখা গেছে, সোডিয়াম যখন পনিরে থাকে তখন তা রক্তনালীর কার্যক্রমকে আরো উন্নত করে দেয়। কিন্তু প্রিৎজেল বা সয় চিজের মতো অন্য উৎস থেকে আসা সোডিয়াম সে কাজটি করে না। বেশি বেশি লোহিত রক্তকণিকা মানে রক্তের বেশি প্রবাহ। এতে রক্তনালীর প্রসারণও ঘটে।