বাংলাদেশ | বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪ | ১০ বৈশাখ,১৪৩১

জাতীয়

03-02-2018 11:17:48 AM

বিচারপতি ওয়াহ্‌হাব মিঞার পদত্যাগ

newsImg

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি গতকাল শুক্রবার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় তিন মাস শূন্য থাকা প্রধান বিচারপতির পদ পূরণ হলো।

এদিকে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনকারী আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা পদত্যাগ করেছেন। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গতকাল বিকেলে পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা। আগামী ১০ নভেম্বর তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

এই পদত্যাগের সংবাদ জানার পর নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গতকাল রাতেই বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার বাসভবনে যান। সেখানে তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা অবস্থান করেন। এছাড়াও আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছুটিতে থাকাকালে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করলে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগপত্র গত বছর ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করায় দেশের প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হয়।

গতকাল নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এর আগে সকালে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ (শুক্রবার) রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি তাঁর যোগ্যতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত’ হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গতকাল প্রধান বিচারপতি নিয়োগের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুর সোয়া ২টায় রাষ্ট্রপতি নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একই মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা কালের, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 

২১তম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা পদত্যাগ করার পর থেকেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনে গুঞ্জন ছিল, কে হচ্ছেন নতুন প্রধান বিচারপতি—আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা নাকি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ গুঞ্জনের অবসান হয়েছে। বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন একই দিনে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তবে তালিকায় বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নাম প্রথমে ছিল।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী এবং মায়ের নাম বেগম কাওছার জাহান। তাঁর বাবা কুমিল্লা জেলা আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে এখনো পেশায় আছেন। তাঁর শ্বশুর আবদুল খালেক ছিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিএসসি ও এলএলবি পাস করার পর ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ওই পদে দায়িত্ব পালনকালে ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাইকোর্ট বিভাগে দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যাবেন।

উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে মামলা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে মামলার রায় আপিল বিভাগের যে বেঞ্চ দিয়েছিলেন, সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি মালয়েশিয়া, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও হংকং সফর করেছেন।

বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত বছর ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগপত্রে সই করে সিঙ্গাপুরে দূতাবাসে পাঠান। এর পরদিন দূতাবাস থেকে তা পাঠানো হয় বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে। ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস ২০ দিন আগেই পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় গত বছর ২ অক্টোবর ৩০ দিনের ছুটিতে যান এস কে সিনহা। ১৩ অক্টোবর তিনি অস্ট্রেলিয়া যান। সেখান থেকে ছুটির মেয়াদ আরো ১০ দিন বাড়িয়ে নেন। এরপর চিকিৎসার জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে যান। চিকিৎসা শেষে তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশে না ফিরে সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান।

ছুটি নেওয়ার আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সরকারের রোষানলে ছিলেন। উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনর্বহালের বিধানসংবলিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে গত বছর ৩ জুলাই রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে ওই রায় দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত বছর ১ আগস্ট। মূল রায়টি লেখেন এস কে সিনহা নিজে। ওই রায় নিয়ে সরকারি দলের সমালোচনার মুখে ছিলেন তিনি। তাঁর পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়। সরকার সমর্থক আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির অনুষ্ঠান বর্জন করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁরা আন্দোলনে নামেন। রায় প্রকাশের পর দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকও সংবাদ সম্মেলন করে রায়ের সমালোচনা করেন।

বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার পদত্যাগ : আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা গতকাল বিকেলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আবুল কাশেমের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার পদত্যাগপত্র পেয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার ছেলে অ্যাডভোকেট মুহিবুল্লাহ তানভীর পদত্যাগপত্র পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ওই পদত্যাগ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন কালের, পদত্যাগপত্রের কোনো অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা পাননি। তবে তিনি শুনেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।

পদত্যাগপত্র বিকেলে পাঠানো হলেও গতকাল সকাল থেকে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়। সূত্র মতে, দিনের শুরু থেকেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে থাকা তাঁর ব্যক্তিগত আসবাব বাসায় স্থানান্তর করতে শুরু করেন।

মাত্র তিন লাইনের পদত্যাগপত্রে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা লিখেছেন, ‘আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী আমার অনিবার্য ব্যক্তিগত কারণবশতঃ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারকের পদ হইতে এতদ্বারা পদত্যাগ করিলাম। অনুগ্রহ পূর্বক আমার পদত্যাগপত্রখানা গ্রহণ করে বাধিত করিবেন।’

বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করলেও ‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন’ করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় মনঃক্ষুণ্ন হয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের তালিকায় বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিয়ার নাম ১ নম্বরে ছিল। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নাম ছিল ২ নম্বরে। তবে দুজনই একই দিনে আপিল বিভাগে নিয়োগ পান। বিচারপতি ওয়াহ্‌হাব মিঞা বয়সে বড় এ কারণেই তাঁর ক্রমিক ছিল ১ নম্বরে।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা মানার কোনো বিধান নেই। গত এক যুগে ছয়জন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে প্রথম জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছিল। তখন দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে (এম এম রুহুল আমিন ও ফজলুল করিম) ডিঙিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি কে এম হাসানকে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচারপতি ফজলুল করিমকে ডিঙিয়ে বিচারপতি এম এম রুহুল আমীনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। এম এম রুহুল আমীন ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর অবসরে যান। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিচারপতি ফজলুল করিমকে ডিঙিয়ে বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলামকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম অবসরে যাওয়ার পর অবশ্য বিচারপতি ফজলুল করিমকে প্রধান বিচারপতি করা হয় ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। তিনি অবসরে যান ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। এরপর বিচারপতি এম এ মতিন ছিলেন জ্যেষ্ঠ। তাঁকে ডিঙিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি করা হয়। পরে ২০১১ সালের ১৭ মে বিচারপতি খায়রুল হক অবসরে গেলে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানকে ডিঙিয়ে বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনকে প্রধান বিচারপতি করা হয়। পরে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান পদত্যাগ করেন। যদিও তিনি পদত্যাগপত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করেননি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে অমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। আপিল বিভাগের একমাত্র বিচারপতি ওয়াহ্‌হাব মিঞা সব অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দিয়েছিলেন। এ রকম আরো কয়েকটি আপিল মামলায় তিনি ভিন্নমত পোষণ করেন।

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- i-news24.com
এই খবরটি মোট ( 663 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends