বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র,১৪৩০

আন্তর্জাতিক

15-12-2016 12:11:58 PM

মা-বাবাকে স্পন্সর করার নতুন নিয়ম চালু করেছে ইমিগ্রেশন কানাডা

newsImg

মা-বাবা বা দাদা-দাদী কিংবা নানা-নানীকে স্পন্সর করে অভিবাসী হিসেবে নিয়ে আসার আবেদন পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশীপ মন্ত্রণালয়। এর ফলে আগে যেখানে জানুয়ারির নির্দিষ্ট একটি দিনে স্পন্সরশীপের আবেদনপত্র গ্রহণ করতে হতো, সেখানে এবার থেকে ৩০ দিন সময়সীমার মধ্যে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে এবং ওই দিন থেকেই ইমিগ্রেশন কানাডার ওয়েবসাইটে স্পন্সরশীপের আবেদনপত্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশীপ মন্ত্রী জন ম্যাককালাম বলেন, মা-বাবাকে স্পন্সর করে আনতে আগ্রহী আবেদনকারীদের বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে আমরা স্পন্সরশীপ প্রক্রিয়াকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করেছি। আগ্রহী প্রত্যেকেই যাতে আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে আমরা সেটি নিশ্চিত করছি।

বর্তমান নিয়মে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের নির্দিষ্ট একটি দিনে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হতো। ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে সেই আবেদনপত্রগুলো বিবেচনা করা হতো। ১০ হাজার আবেদনপত্র জমা হওয়ার সাথে সাথেই আবেদনপত্র গ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতো। নির্দিষ্ট সময়ে আবেদনপত্র জমা দিতে অনেকেই অতিরিক্ত ফি দিয়ে কোরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।

ইমিগ্রেশন মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হবে। মূলত ইমিগ্রেশন কানাডার ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। পুরোপুরি তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র সাবমিট করার সাথে সাথে একটি কনফার্মেশন নম্বর দেওয়া হবে। ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ একই ব্যক্তির জন্য একাধিক আবেদনপত্র জমা দেওয়ার চেষ্টা করলে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা বন্ধ করে দেবে।

ইমিগ্রেশন মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ইমিগ্রেশন কানাডা ‘রেনডম চয়েসের’ মাধ্যমে সেখান থেকে ১০ হাজার আবেদনপত্র নিষ্পত্তির জন্য নেবে। যাদের আবেদনপত্র নেওয়া হয়েছে তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে যাদের আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে না তারা পরের বছর একই প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন।

এই প্রসঙ্গে টরন্টোর ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট ওয়াজির হোসাইন মুরাদ বলেন, মূলত লটারির মাধ্যমে স্পন্সরশীপের আবেদনপত্র বাছাইয়ের নিয়ম শুরু করতে যাচ্ছে ইমিগ্রেশন কানাডা। এতে একজন আবেদনকারী সময় নিয়ে বাছবিচার করে তার আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়াও আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সিরিয়াল ধরার জন্য তাকে উৎকণ্ঠিত হতে হবে না।

ওয়জির হোসাইন মুরাদ বলেন, এতোদিন ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে আবেদনপত্র নিষ্পত্তি হওয়ায় সবাই আবেদনপত্র জমা দেওয়া নিয়ে এক ধরনের উৎকণ্ঠায় থাকতেন।

আমাজান ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের কর্ণধার ওয়াজির হোসাইন মুরাদ আরও বলেন, নতুন নিয়মে অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে বসে থাকতে হবে। ৩০ দিনের সময়সীমার মধ্যে ৩০/৪০ হাজার আবেদনপত্র জমা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতগুলো আবেদনপত্রের মধ্যে 'রেনডম চয়েসে' কার আবেদনপত্র ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের হাতে পড়বে তা অনিশ্চিত। কারো কারো আবেদনপত্র হয়তো কোনো সময়েই রেনডম চয়েসে পড়বে না। সেই ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকা সত্বেও তারা তাদের বাবা মাকে কানাডায় স্পন্সর করে নিয়ে আসতে পারবেন না।

 

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- আই-নিউজ২৪.কম
এই খবরটি মোট ( 505 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends