05-12-2016 06:00:32 PM
সম্প্রতি ফটো-ভিডিও মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের আদলে ফিচার তৈরিতে আগ্রহ হয়েছে ফেসবুকের। এতে ফেসবুকের ব্যবসা যেমন বাড়বে তেমন আরও কিছু সীমাবদ্ধতা দূর হবে বলে মনে করছেন সংস্থার কর্মকর্তারা। মূলত তরুণ ইউজারদের কথা মাথায় রেখেই বেশ কিছু নতুন ফিচার অ্যাড করেছে স্ন্যাপচ্যাট। তার ফলাফলও তারা পেয়েছে। তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইমেজ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন স্ন্যাপচ্যাট।ফেসবুক স্ন্যাপচ্যাটের যে অংশটির অনুরূপ সংযোজন করছে তার নাম ‘কালেকশনস’। এতে পাবলিশাররা সরাসরি নিউজ ফিডে কোনো কনটেন্ট পাবলিশ করে দিতে পারবেন। এটি স্ন্যাপচ্যাটের ডিসকভার সেকশনের অনুরূপ। এতে নতুন স্টোরি, লিস্টটিকলস, ভিডিও ও অন্যান্য কনটেন্ট মিডিয়া পার্টনাররা খুঁজে নিতে পারবেন। এর আগেই স্ন্যাপচ্যাটের আদলে একটি নতুন ফিচার ‘ম্যাসেঞ্জার ডে’ এনেছে। এর মাধ্যমে ইউজাররা ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে , ইউজাররা শিগ্রি ফেইস সোয়াপিং এমএসকিউআরডি অ্যাপ্লিকেশন থেকে লাইভে যেতে পারবেন এবং বিভিন্ন স্ন্যাপচ্যাটের মতো মাস্ক এবং ফিল্টার ভিডিও রানিং অবস্থায় কাজে লাগাতে পারবেন। তবে এবার ফেসবুক স্ন্যাপচ্যাটের মত যে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, তাতে এ ধরনের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ থাকবে না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানের পেছনে ফেসবুকের ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন নির্বাচন ঘিরে ফেসবুকে ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়েছে এবং ফেসবুকে অনেক শেয়ার হয়েছে। সে তুলনায় আসল তথ্য কম শেয়ার হয়েছে। অনেক ভুল খবর ফেসবুক ইউজারের টাইমলাইনে চলে আসে। যদিও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে ফেসবুকের ভূমিকার কথা রয়েছে এটা বলাকে ‘পাগলামো’ বলে অভিহিত করেছেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জুর্কারবার্গ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে জুকারবার্গ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানে ফেসবুককে দায়ী করা যাবে না।