03-12-2016 06:10:00 PM
২০ বছরের এক তরুণ। তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়েছিল চীনা সরকার৷ ১৯৯৫ সালে খুন ও ধর্ষণের দায়ে প্রাণদণ্ড হয়েছিল তরুণের।
কিন্তু সেই বিচার ভুল ছিল৷ ২১ বছর পর সেই ভুল স্বীকার করল চীনের শীর্ষ আদালত৷ খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ওই তরুণ৷ তার বাবা বললেন, ছেলে এ বার কবরে শান্তিতে ঘুমোবে।
কমিউনিস্ট চীনের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ বহুকালের৷ তাদের বক্তব্য, সে দেশে অভিযুক্তরা নিরপেক্ষ আইনি ব্যবস্থার সুবিধা পান না৷ তাই প্রতি বছর হাজারো মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ড্রাগনের দেশে৷ এই অভিযোগের আর এক জ্বলন্ত প্রমাণ চীনা শীর্ষ আদালতের শুক্রবারের রায়।
পরিস্থিতি অন্য মোড় নেয় ২০০৫ -এ৷ ওয়াং সুজিন নামে এক ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন কবুল করে, ওই ধর্ষণ ও খুন তার কাজ৷ সুবিনের মা ঝাং হুয়ানঝি আইনি লড়াই শুরু করেন৷ ফের দাবি তোলেন, তার ছেলে নিরপরাধ৷ ওয়াং সুজিনের স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা ফের খতিয়ে দেখা হোক৷ ৭৩ বছরের বৃদ্ধা চীনের সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে আবেদন জানান।
২০১৪ সালে এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ শুক্রবার এই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় সুবিনকে৷ শুধু মুক্তি দেয়নি, আদালত বলেছে , প্রমাণ ছাড়াই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা সাজানো হয়েছিল৷ পুলিশ ও আইনজীবীদের নিন্দা করে আদালত।